শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

| |

নড়াইলের তুলারামপুরে মমতাজ বেগমের অনিয়ম,দূর্নিতী ও স্বেচ্ছাচারীতায় অতিষ্ট গ্রাম বাসি

Print Friendly and PDF

 

সৈয়দ হিটলার আলী, জেলা প্রতিনিধি ,নড়াইলঃ



নড়াইলের তুলারামপুর ইউনিয়নের চামরুল গ্রামের মমতাজ বেগমের অনিয়ম,দূর্নিতী ও স্বেচ্ছাচারীতায় অতিষ্ট চামরুল গ্রামের সাফিয়া খাতুনসহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি।


 ভূমিদস্য মমতাজ বেগমের খুটির জোর কোথায়,তবে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন,অভিযুক্ত মমতাজ বেগম। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের মো:মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মমতাজ বেগম গ্রামে ভূমিদস্য নামে পরিচিত। 


মমতাজ বেগম তুহিন নামের একটি ছেলের বাড়ির পাসে ৫শতক জমি ত্রয় করে এবং তুহিনের বাড়িসহ বাড়ির জমি দখলসহ তুহিনের জমির নামপত্তন মমতাজের নিজের নামে করার জন্য এসিল্যান্ড অফিসে দৌড়াঝাপ করলেও এসিল্যান্ড অফিসে ওই জমির নামপত্তন করতে পারেনি অভিযুক্ত মমতাজ বেগম। তবে মমতাজ বেগম তুহিনের পরিবারকে প্রতিনিয়তই হুমকি ধামকি দিয়ে বলে তোরা আমার কিছুই করতে পারবি না,তোদের বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে,সেই ব্যবস্থা আমি করছি বলে হুমকি দিয়ে আসছে।


 তবে অভিযুক্ত মমতাজ বেগমের নামে একাধীক দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নাম্বার মিস ৩২/ ২৩,দেয়ানি মামলা,৫৫/২৪,এল এসটি মামলা,১২৯/২৪ সহ নড়াইল দেওয়ানী আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গ্রামের সুপরিচিত ভূমিদস্য নামে পরিচিত মমতাজের হাত থেকে তুলারামপুর গ্রামের অসহায় মানুষ রক্ষা পেতে নড়াইলে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।


চামরুল গ্রামের  নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধির। তিনি বলেন, মমতাজ বেগমের জমি দখলের কথা কি বলবো,সে আমার ভাই মোঃ মনিরুল ইসলামের  জমি ও ভুয়া কাগজের জোরে জবর দখল করে খাচ্ছে। এতিম সাফিয়ার জমি ও সে জবরদখল করে নিতে চাই।তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও তার বিচার করতে পারেনি।সাফিয়ার সাথে মমতাজ অন্যায় করছে।


মমতাজ বেগম এতিম সাফিয়া নামের একটা মেয়ের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মমতাজ বেগম গ্রামের অসহায় ব্যক্তিদের ডিসি অফিসে চাকরির সুবাদে হুমকি দিয়ে আসছে,এবং মমতাজের ভাই বোন সরকারি চাকরি করায় জেল খাটানোর হুমকি ধামকি দেন। 


তবে মমতাজ বেগমের পিট দলিলে দেখা যায় মাঝখানে নকশা করা এবং চৌদ্দ বছর ধরে আয়সা বেগম উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছে পরবর্তীতে মমতাজ বেগম দলিলে পূর্ব পাশে নকশা দেখিয়ে পুর্বপাশ দাবি করছেন অবৈধ ভাবে। এদিকে,ওই ১১ শতক জমি মহাশিন ও স্ত্রী বিনা খাতুন বর্গা চাষ করতো দির্ঘদিন ধরে। 

তুলারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গণমাধ্যম ব্যক্তি বর্গ একাধীবার সালিশ মিমাংশা করলেও,সালিশ মানতে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম রাজি হয় না বলে  তুলারামপুর ইউনিয়নের একাধীক ব্যক্তি জানান। 

এ সকল বিষয়ে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম,সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার নামে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে,সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, ওই জমি আমার বলেও জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ